ST. PETER’S HIGH SCHOOL, KOLKATA

Address
Address : 90, Acharya Jagadish Chandra Bose Road, Kolkata 700014
Phone : 033 -2265 2010
Email : schoolstpeter90@gmail.com

School Motto
গভীর জলে ভাসাও তরী

School Index No
A1-061, WBBSE

Established in
1957

Medium of instruction
Bengali

Status
Boys only

Admission
class 5 onwards

Subjects offered
• Bengali
• Hindi
• Life Science
• Computer
• Mathematics
• English
• Moral Science/Catechism
• Environment Studies
• Physical Education
• Geography
• Physical Science
• History
• Work Education

প্রতিষ্ঠান
সেন্ট পিটার্স হাই স্কুল একটি ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান কলকাতার ক্যাথলিক মহাধর্মপ্রদেশ কর্তৃক স্থাপিত এবং পরিচারিত। ধর্মীয় এবং ভাষাগত ব্যাপারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় সংবিধান কর্তৃক যে অধিকার এবং ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে (আর্টিকেল নং ২৯ এবং ৩০), সেই অধিকারের ক্ষমতাবলে এই বিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠান) ১৯৫৭ সালে স্থাপিত হয়েছে। কলকাতার ক্যাথলিক মহাধর্মপ্রদেশ এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।

এই বিদ্যালয় (পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা-বিভাগ) পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত।

এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা মাধ্যম – বাংলা।

এই বিদ্যালয়টি ছেলেদের জন্য।

বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য
ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিদ্যালয়ের প্রধান উদ্দেশ্য যদিও ক্যাথলিক ছেলেদের নিজ ধর্মবিশ্বাসে এবং নীতিতে শিক্ষা দেওয়া, তবুও জাতি-ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে ছেলেদেরও ভর্তি করা হয়।

ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিদ্যালয় হচ্ছে একটি শিক্ষার্থী সমাজ, যার কেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণে আদর্শরূপে গ্রহণ করা হয়েছে খ্রিষ্টকে। তাঁর মূল্যবোধ আমরা পাই সৎ গুণের মধ্যে, যার প্রকাশ ঘটে প্রেম, একাগ্রতা, ন্যায়বোধ এবং স্বাধীনতার মধ্যে। এ সবই বিদ্যালয়ের এমন একটি বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে যাতে সমাজের সর্বস্তরের ছেলেরা, এমন কি সর্বাপেক্ষা বঞ্চিত যারা, তারা এবং সর্বধর্মের ছাত্ররাও এখানে অনুভব করে উষ্ণ সমাদর। এই পরিবেশ তাদের যেমন উৎসাহ জোগায় তেমনি প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করতে প্রেরণা দেয়।

এই বিদ্যালয় ছাত্রদের সার্বিক মনুষ্যত্ব গঠনে ও উন্নতিতে সর্ব প্রকার সাহায্য করে। ফলে ছাত্ররা আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং দৈহিক সম্বাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারে। এখানে তারা পায় উপযুক্ত সাহচর্য, যার ফলে তারা তাদের সুস্থ মূল্যবোধ গড়ে তুলতে পারে এবং তাদের মধ্যে নিজস্ব কৃষ্টি এবং স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং অনুরাগ সঞ্চারে সক্ষম হয়। এই স্কুল তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিসীমায় তাদের জীবন সম্পর্কে চিন্তা করবার সুযোগ পায় এবং শুধু জ্ঞান আর দক্ষতা অর্জনে নয়, পরন্তু সেই জ্ঞান সঞ্চয় করবার সুযোগ করতে পারে। যে জ্ঞান তার জীবনকে সার্থক করে তোলে এবং তা তার জীবনের আদর্শ হয়ে ওঠে।

যে শিক্ষা বিতরণ করা হয় তার বৈশিষ্ট্য সর্বাঙ্গীন সুস্থ-নীতিবোধ ও স্বাধীনতা। ছাত্রদের এমন ভাবে সাহায্য করা হয় যাতে তারা দায়িত্বশীল, আত্মনির্ভর এবং মানবসুলভ পরিপক্ক জ্ঞান লাভে সমর্থ হয়, তারা যেন তাদের জীবনের উদ্দেশ্য এবং অর্থ খুঁজে পায় এবং অনুপ্রেরণা লাভ করে এমন একটি সমাজ গড়ে তোলার, যার ভিত্তিভূমি হবে ন্যায়পরায়ণতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ। এই জন্যই তাদের সামনে তুলে ধরা হয় সেবার মনোভাব, যাতে তারা অপরের প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারে এবং প্রয়োজন হলে তাদের যা আছে, তা দিয়ে যাদের নেই তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে পারে। সেই কারণে এদের পরস্পরের প্রতি অবাঞ্ছিত প্রতিযোগিতার মনোভাব না জাগিয়ে, প্রতিবেশীসুলভ একতাবোধ ও সহযোগিতা জাগিয়ে তোলার প্রয়াস করা হয়।

ভর্তি
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন-পত্র সাধারণত নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে বিতরণ করা হয়।

ভর্তির সময় পিতা-মাতাকে অবশ্যই একটি লিখিত ঘোষণাপত্র বিদ্যালয় অফিসে জমা দিতে হবে, যার সঙ্গে থাকবে ছেলের সঠিক জন্ম-তারিখ এবং জন্ম নথীভুক্তকারী প্রমাণ পত্র (Register of Birth) (কর্পোরেশন/মিউনিসিপ্যালিটি/গ্রামপঞ্চায়েত) অথবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বাক্ষরিত প্রমাণ পত্রের প্রত্যায়িত নকল। সেই সঙ্গে আরও জমা দিতে হবে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর যুক্ত এফিডেফিট। ক্যাথলিক ছেলেদের ক্ষেত্রে তাদের দীক্ষাদানের (Baptism)সার্টিফিকেটের প্রত্যায়িত নকলও দাখিল করতে হবে। অনুমোদিত কোন স্কুল থেকে ভর্তির জন্য এলে, উক্ত স্কুল থেকে পরিবর্তনের প্রমাণপত্র (Transfer Certificate) দাখিল করতে হবে। যদি কোন ছাত্র পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য কোন প্রদেশ থেকে আসে, তবে তাকে তার স্কুল পরিবর্তনের প্রমাণপত্র উক্ত প্রদেশের বিদ্যালয়-পরিবদর্শককে দিয়ে প্রতি-স্বাক্ষর (Counter-Signed) করে আনতে হবে।

ভর্তির সময় ছাত্রের রক্তের বিভাগ (Blood Group)-এর প্রমাণ পত্র দিতে হবে।

ছুটি অথবা ক্লাস না হওয়ার জন্য ফি-এর কোন রকম হ্রাস করা হয় না। যতদিন ছাত্রের নাম রেজিস্টারে থাকবে ততদিন তাকে স্কুলের ফি দিতে হবে।

ছুটি
বছরে তিনটে লম্বা ছুটি থাকবে – গ্রীষ্মের ছুটি, পূজার ছুটি, এবং বড়দিনের ছুটি।

শনিবার সাধারণত অর্ধদিবস (১.০৫ মিনিটে ছুটি)।

স্কুল-ক্যালেন্ডার এবং দিনপঞ্জীর মধ্যে সমস্ত বছরের নির্দেশিকা দেওয়া থাকে লম্বা ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটি এবং স্কুল-দিনের বিবরণ নির্দেশিত করা থাকে।

পাঠক্রম
ছাত্রদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ–এর পাঠক্রম অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়।

বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্য-বিষয় ছাড়াও অবশ্য পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে – ধর্মশিক্ষা (খ্রিষ্টান ছাত্রদের জন্য),
নীতিশিক্ষা (অন্য ছাত্রদের জন্য) এবং মূল্যবোধ শিক্ষা (সকল ছাত্রদের জন্য)। এ ছাড়াও পাঠ্য-বিষয়ের মধ্যে হাতের কাজ ও সমবেত গান ইত্যাদিও থাকতে পারে। দ্বিতীয় ভাষারূপে ইংরাজি দশম শ্রেণি পর্যন্ত এবং তৃতীয় ভাষা রূপে হিন্দি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ান হয়।

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম (Co-curricular Activities)

সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে থাকবে নাটক, বিতর্ক, বক্তৃতা, খেলাধূলা, শিল্প, মেধাবিকাশ কার্যকলা, প্রশ্নোত্তর, শরীর-অনুশীলন ইত্যাদি।

এল.টি.এস. (লিডারসিপ ট্রেনিং সার্ভিস), ব্যক্তিত্ব-বিকাশ ও পরিচালনা দক্ষতা অর্জনে সুযোগ এনে দেয় এবং সমাজ সেবার সি.এল.সি. (খ্রিস্টিয়ান লাইফ কমিউনিটি), ওয়াই.সি.এস.(ইয়ং খ্রিস্টিয়ান স্টুডেন্ট) ক্যাথলিক ছাত্রদের একই রকমের শিক্ষার সুযোগ আনে।

স্কুলের নির্ধারিত পাঠ্যসূচীর বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ছাত্রদের উৎসাহিত করা হয়।

সমাজসেবা কার্যক্রমের জন্য কিছুটা সময় রাখা হয়, যে সময়টা ছাত্রদের সমাজের দরিদ্র ও অনগ্রসর শ্রেণির ছেলেমেয়েদের সেবায় সময় দিতে হবে। এই কাজে তাদের উৎসাহিত করার কথা পিতামাতা বা অভিভাবক/অভিভাবিকারা বিশেষভাবে মনে রাখবেন। কারণ এই কাজের মধ্যে দিয়েই ছেলেরা তাদের দেশের প্রয়োজন উপলব্ধি করতে শিখবে এবং কার্যকর ভূমিকা নিতে উৎসাহ বোধ করবে।

সহকর্ম-শিক্ষার উদ্দেশ্য পাঠরত ছাত্রদের সাহায্য করা, যাতে তারা অবসর সময় সুন্দর ভাবে ব্যয় করতে পারে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত ছাত্রদের স্কুলের পরেও থাকতে হতে পারে।

ছাত্রদের মাঝে মাঝে শিক্ষামূলক ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্কুলে গ্রন্থাগার আছে।

গৃহ-শিক্ষকতা
প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি ভিন্ন কোনো ছাত্র এই স্কুলের কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার কাছে টিউশনি নিতে পারবে না। কারণ স্কুলে এমন পড়াশুনা হবে যা সাধারণ মেধা সম্পন্ন ছাত্রের পক্ষে যথেষ্ট, আলাদা গৃহ- শিক্ষকের প্রয়োজন হবে না।

অতীতের পৃষ্ঠা থেকে
তালতলা এন্টালি অঞ্চলের দুঃস্থ সাধারণ পরিবারের কিশোরদের মধ্যে শিক্ষার আলোক বিকিরণের উদ্দেশ্যে সাধ্বী তেরেজার উপাসনা-মন্দির সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র কক্ষে আজকের সেন্ট পিটার্স বিদ্যালয়ের সূচনা হয়। ১৯৫৭ সালের ১৫ জানুয়ারি শুধুমাত্র নয় জন কিশোর ছাত্রদের নিয়ে এই জুনিয়ার হাই স্কুল পরিচয়ে শিক্ষাজগতে আবির্ভূত হয়।

১৯৫৭
সালের জানুয়ারি মাসে, সাধ্বী তেরেজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে কিছু জমি ত্রুয়ের সুযোগ আসে। তদানীন্তন এই উপাসনা-মন্দিরের পাল-পুরোহিত ফাদার এইচ. বারে, এস.জে-র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি গড়ে তোলার স্বপ্ন ফলপ্রসূ হয়।

১৯৫৮
সালে এই বিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদন লাভ করে এবং বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ হয় সেন্ট তেরেজা সিনিয়র বেসিক স্কুল । তখন বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল। ১৯৬০ সালে নবম শ্রেণি খোলা হয় এবং সামনে দৃষ্টি রেখে প্রতি বছর নতুন উচ্চমানের শ্রেণি খোলা হয়েছিল।

১৯৬১
সালের ২৫ জানুয়ারি কলকাতার মহামান্য আর্চবিশপ ভিভিয়ান ডায়ার মহোদয় সেন্ট পিটার্স হাই স্কুল-এর ভিত্তি–প্রস্তর স্থাপন করেন।

১৯৬২
সালের ২৩ এপ্রিল চারতলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়-ভবনটির অর্ধাংশ নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়।

১৯৬৩
সালে নয় জন ছাত্র উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় এবং প্রত্যেকেই সফল হয়। সেইসঙ্গে শুরু হয় শিক্ষার আলো বিস্তারের মহান উদ্দেশ্যে সেন্ট পিটার্স হাই স্কুল–এর অক্লান্ত যাত্রা।

১৯৭৫
সালের ১৯ ডিসেম্বর বিদ্যালয়-ভবনের অবশিষ্টাংশ সম্পূর্ণ হলে কলকাতার মহামান্য মহাধর্মপাল কার্ডিনাল লরেন্স পিকাচি, এস.জে. মহোদয় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যালয়-ভবনটি আশীর্বাদ করেন।

১৯৭৫
সালে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাক্রমে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই বিদ্যালয় উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার বিকল্প মাধ্যমিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা রেভাঃ ফাদার এইচ. বারে, এস.জে. এবং রেভাঃ ফাদার এল.এন. গোমেজ, এস.জে. মহোদয়ের অপরিসীম এবং অক্লান্ত প্রয়াসে বর্তমান বিদ্যালয় সুপ্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে। রেভাঃ ফাদার এইচ. বারে, এস.জে. এবং রেভাঃ ফাদার এল. এন. গোমেজ, এস.জে. ছিলেন যথাক্রমে বিদ্যালয়ের প্রথম সম্পাদক এবং প্রথম অধ্যক্ষ।

সেন্ট পিটার্স হাইস্কুল–এ পড়তে আসা অধিকাংশ ছাত্রই দরিদ্র, অবহেলিত ও সমাজের নিম্নশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। পারিবারিক, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা তাদের অনেক সময়ই পড়াশুনা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। সেন্ট পিটার্স হাইস্কুল–এ এইসব ছাত্ররা শুধুমাত্র পড়াশুনার সুযোগ পায় না, সঙ্গে সঙ্গে তারা পারিপার্শ্বিক অনেক প্রতিযোগিতা, খেলাধূলা ও নানারকম শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, যেমন – নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি, নাচ, তর্কবিতর্কসভা সব কিছুতেই তারা অংশ নিতে পারে যা তাদের প্রতিভার বিকাশ হতে সাহায্য করে এবং সাথে সাথে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মান ও আত্ম সচেতনতা গড়ে তোলে। প্রায় ৮০% ছাত্ররা আসে বস্তি এলাকা থেকে ও বাকি ২০% ছাত্ররা যাদের প্রায় আশ্রয়হীন বললেই চলে, কারণ রাস্তাই তাদের আস্তানা। তবুও বিদ্যালয়ের পরিবেশে তাদের সকলকে দেওয়া হয় সমান অধিকার ও মর্যাদা, যাতে তারা সকলেই সম্মানের সাথে বেড়ে উঠতে পারে। সেন্ট পিটার্স হাইস্কুল–এ তারা প্রশিক্ষণ পায় কম্পিউটার, শিল্পকলা ও নানা ধরনের খেলাধুলার যা তাদের ভবিষ্যতে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে থাকে। অনেক ছাত্র আছে যারা বাড়তি সময়টুকুতে পরিশ্রম করে কিছুটা উপার্জন করে, তাদের পরিবারকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে, এই অবস্থা থেকে তারা নিজেদের জন্য পাঠ্য-বই, স্কুলের পোষাক ক্রয় করে উঠতে পারেনা। স্কুলের তরফ থেকে তাদের সর্বপ্রথম সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়। বহু ছেলেকে স্কুল থেকে বই, টিফিন, জুতো দেওয়া হয়। এইসব শিশুদের মধ্যে দেখা যায় পড়াশুনার প্রতি অনুরাগ, শেখার ইচ্ছা, জানার আগ্রহ। ভাগ্যের সাথে সংগ্রাম করে তারা এগিয়ে চলেছে এবং এই চলার পথে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেন্ট পিটার্স হাইস্কুল–এর কর্তৃপক্ষ। অঙ্কুরিত চারাগাছের মধ্যেই থাকে ভাবী বনস্পতির সম্বাবনা। এই দরিদ্র অবহেলিত ছাত্ররাও যাতে এই পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, গভীর জলে অনায়াসে ভাসাতে পারে তাদের আপন তরী – সেইদিকে দৃষ্টি রেখেই সেন্ট পিটার্স-ছাত্ররা শুধু পুঁথিগত নয় যথার্থ মানুষ গড়ার প্রতিজ্ঞায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে।

বিদ্যালয় সঙ্গীত
সাধু পিতরের আশিস্‌ ধন্য হয়ে
এই আমাদের বিদ্যা-ভবন (২)
এরই ছায়ায় অবাধে নিত্য চলে (২)
জীবন গড়ার মন্ত্র সাধন।
এই আমাদের বিদ্যা-ভবন (১)

গভীর জলে ভাসাই তরী
বিশ্বপিতায় স্মরণ করি (২)
জ্ঞান-সাগরের কুঞ্জ থেকে
আনব তুলে শিক্ষা-রতন। (২)
এই আমাদের বিদ্যা-ভবন (১)


জ্ঞানের আলোয় ভাঙব আঁধার
দ্বন্দ্ব, ঘৃণা, অজ্ঞানতার (২)
দেশ-জননীর উদার আঁচল তলে
বিশ্বজনে করব বরণ। (২)
এই আমাদের বিদ্যা-ভবন (৩)

কথাঃ অরুণ অধিকারী
সুরঃ দিলীপ রোজারিও